Back Munshiganj Bikrampur Samity

District Info

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে ১৭৬৫ খ্রিস্টব্দে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করেন। এই দেওয়ানীকে প্রথম রাজস্ব প্রশাসন হিসেবে অভিহিত করা যায়। সে সময় মুন্সিগঞ্জ ঢাকা জেলার অংশ ছিলো।

v  v  জেলার সৃষ্টির ইতিহাসঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে ১৭৬৫ খ্রিস্টব্দে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করেন। এই দেওয়ানীকে প্রথম রাজস্ব প্রশাসন হিসেবে অভিহিত করা যায়। সে সময় মুন্সিগঞ্জ ঢাকা জেলার অংশ ছিলো। ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে মিঃ মিডেলটন সাধীনভাবে রাজস্ব প্রশাসন পরচালনা করতে থাকেন। তিনি সর্বোচ্চ জমিদারি ডাককারীদের অনুকুলে মহালগুলো লিজ দিয়ে ছিলেন। এদিকে লিজ প্রাপ্ত জমিদারগণ আবার সাব লিজ দিতে থাকলেন। সাভাবিকভাবেই রাজস্ব প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ১৭৭৬ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রাদেশিক কাউন্সিল কাজ করে।

ঢাকা কালেক্টটের আওতায় ১৯৪৭ সালে মুন্সীগঞ্জ মহকুমা সৃষ্টি হয়, জনাব কে এস এইচ চৌধুরি ই পি সি এস মুন্সীগঞ্জের প্রথম এস ডি ও ছিলেন। জনাব চৌধুরি ২২-০৮-১৯৪৭ থেকে ১৭-০৭-১৯৪৯ পর্যন্ত এস ডি ও পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে মুন্সীগঞ্জ জেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে জেলার প্রশাসনিক কাজ নিয়ন্ত্রিত হতো ঢাকা থেকে। মুন্সীগঞ্জের প্রথম জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম তিনি এ জেলায় ০১-০৩-১৯৮৪ থেকে ১৯-০৬-১৯৮৪ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।

জেলা প্রোশাসনের প্রধান হলেন জেলা প্রশাসকতিনি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং কালেক্টরও। তাঁকে সহায়তা করার জন্যে রয়েছেন তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরসহ বেশ ক’জন সহকারী কমিশনার ও বিভিন্ন কর্মকর্তা। তিনি সাধারণ প্রশাসন, রাজস্ব প্রশাসন পরিচালনা করেন। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে বিচার ক্ষমতাও তাঁর রয়েছে। জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যাস্ত।

জেলা প্রশাসনের অধঃস্তন প্রশাসন হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এই প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাঁকে সহায়তা করার জন্যে রয়েছেন সহকারী কমশনার (ভূমি) সহ অন্য কর্মকর্তাগণ। সময়ের বিবর্তনে মানুযের প্রয়োজনে ভিন্ন মাত্রা যোগ হলেও কেন্দ্রিয় সরকারের প্রতিভু হিসেবে জনগনকে সেবাপ্রদানের কাজটিই জেলা প্রশাসনের প্রধান কাজ হিসেবে রয়ে গেছে।

v নামকরণ

আজকের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাচীন বাংলার গৌরবময় স্থান বিক্রামপুরের অংশ। মুন্সীগঞ্জ সে সময়ে একটি গ্রাম ছিল ইন্দ্রাকপুর। কথিত আছে, মোঘল শাসন আমলে এই ইন্দ্রয়াকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাষকদের দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নাম অনুসারে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। ১৯৪৫ সালে বৃটিশ ভারতের প্রশাসনিক সুবিধার্থে মুন্সীগঞ্জ থানা মহকুমা হিসেবে উন্নীত হয়। ১৯৮৪ সালে মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলায় রুপান্তরিত হয়।


ভৌগলিক অবস্থান

Ø  অবস্থানঃ মুন্সীগঞ্জ জেলাটি ২৩:২৯ থেকে ২৩:৪৫ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০:১০ থেকে ৯০:৪৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

Ø  আয়তনঃ ৯৫৪.৯৬ বর্গ কিঃ মিঃ

Ø  সীমানাঃ পূর্বে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি ও হোমনা উপজেলা, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলা যা মুন্সীগঞ্জের সাথে প্রবাহিত মেঘনা নদীর দ্বারা বিভাজিতপশ্চিমে শরিয়তপুর ও মাদারীপর জেলাকে পদ্মা নদী বিভাজিত করেছে। উত্তরে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও দোহার উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা। দক্ষিণে পদ্মা নদী যার অপর পাশে শরিয়তপুর জেলা।


উপজেলার আয়তন

গজারিয়া উপজেলার আয়তন                                  ১৩০.৯২ বর্গ কিলোমিটার

লৌহজং উপজেলার আয়তন                                  ১৩০.১২ বর্গ কিলোমিটার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আয়তন                           ১৬০.৭৯ বর্গ কিলোমিটার

সিরাজদিখান উপজেলার আয়তন                            ১৮০.১৯ বর্গ কিলোমিটার

শ্রীনগর উপজেলার আয়তন                                   ২০২.৯৮ বর্গ কিলোমিটার

টংগিবাড়ী উপজেলার আয়তন                                 ১৪৯.৯৬ বর্গ কিলোমিটার

 

Ø  সীমান্তবর্তী জেলা সমূহ

পূর্বে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি ও হোমনা উপজেলা, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলা যা মুন্সীগঞ্জের সাথে প্রবাহিত মেঘনা নদীর দ্বারা বিভাজিত। পশ্চিমে শরিয়াতপুর ও মাদারীপুর জেলাকে পদ্মা নদী বিভাজিত করেছে। উত্তরে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও দোহার উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা। দক্ষিণে পদ্মা নদী যার অপর পার্শ্বে শরিয়তপুর জেলা।

Ø  ভূপ্রকৃতি

মুন্সীগঞ্জ সমতল এলাকা নয়। জেলার কিছু কিছু অঞ্চল যথেষ্ট উঁচু যদিও জেলায় কোনো পাহাড় নেই। মুন্সীগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা নিম্নভূমি বলে বর্ষায় পানিতে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।

Ø  প্রধান নদ-নদী

মুন্সীগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদী: পদ্মা, মেঘনা, ছোট ব্রহ্মপুত্র, ধলেশ্বরী, ইছামতী ইত্যাদি।

Ø  জলবায়ু

মুন্সীগঞ্জের জলবায়ু সমভাবাপন্ন আর্দ্রতাযুক্ত। এখানকার জলবায়ু ঋতু বিশেষ পরিবর্তনশীল। মুন্সীগঞ্জ বর্ষাপ্রধান স্থান। গ্রীষ্মকালে এলাকার অনেক স্থান পানি শূন্য হয়ে পড়ে। ঝড়বৃষ্টির প্রকোপও এই এলাকায় যথেষ্ট। শীতকালে শীতের তীব্রতা দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তত প্রবল নয়। এলাকাটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলভূক্ত।

        Ø  জীববৈচিত্র

v প্রশাসনিক তথ্য

Ø  জনসংখ্যাঃ ১৪,৪৫,৬৬০ জন (সূত্রঃ বিবিএস)

Ø  শিক্ষার হারঃ ৫৬.১% (সূত্রঃ বিবিএস)

Ø  সংসদীয় আসন সংখ্যাঃ ০৩ (তিন) টি

Ø  উপজেলাঃ ০৬ টি

Ø  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সঃ ০৬ টি

Ø  পৌরসভাঃ ০২ টি

Ø  ইউনিয়ন পরিষদঃ ৬৮ টি

Ø  আবাসন/আশ্রয়ন প্রকল্পঃ ২১ টি

Ø  আদর্শ গ্রামঃ ০৮ টি

Ø  স্কুলের সংখ্যা

·         প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ সরকারী ৫০৪টি, বেসরকারী রেজিঃকৃত ৩৪টি= মোট ৬১০টি

·         মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ সরকারী ৩টি, বেসরকারী ৮৫টি, বেসরকারী জুনিয়র ১১টি= মোট ৯৯টি

Ø  কলেজের সংখ্যাঃ সরকারী ৪টি, বেসরকারী ৯টি= মোট ১৩টি

Ø  জেনারেল হাসপাতাল সংখ্যাঃ ০১টি

v